Πρόσφατες ενημερώσεις
  • তোমাদের মহাবিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া-প্রতিযোগিতার বিবরণ দিয়ে বন্ধুকে একটি পত্র লেখো।
    প্রিয় বন্ধু, নমস্কার। আশা করি তুমি ভালো আছো। আজ আমি তোমাকে আমাদের মহাবিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া-প্রতিযোগিতার ব্যাপারে কিছু লিখতে চাই। এটি ছিল আমাদের বিদ্যালয়ের একটি অন্যতম আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান এবং সবার মধ্যে অনেক উৎসাহের সৃষ্টি করেছিল। আমি জানি তুমি খুব ভালো ক্রীড়াবিদ, তাই এই প্রতিযোগিতার বিবরণ তোমার কাছে খুবই আকর্ষণীয় হবে। আমাদের মহাবিদ্যালয়ে প্রতি বছর বার্ষিক ক্রীড়া-প্রতিযোগিতার আয়োজন...
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 110 Views 0 Προεπισκόπηση
  • বিদ্যাসাগর তার বই বিক্রি করে উপার্জন করেন কোন বয়সে?
    বিদ্যাসাগরের বই বিক্রি ও পৌঢ় বয়সে অর্থ উপার্জন: একটি গভীর আলোচনা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, যিনি বাংলা রেনেসাঁসের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র, শিক্ষা, সমাজ সংস্কার এবং সাহিত্য ক্ষেত্রে তার অসামান্য অবদানের জন্য সর্বজনবিদিত। তিনি একজন পন্ডিত, শিক্ষক, সমাজ সংস্কারক এবং একজন অনন্য লেখক হিসেবে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। তবে তার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো বই বিক্রির...
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 105 Views 0 Προεπισκόπηση
  • বড় কে কবিতার লেখক কে
    বড় কে? কবিতার লেখক কে? ‘বড় কে’ কবিতাটি রচনা করেছেন কবি হরিশচন্দ্র মিত্র। তিনি ১৮৩৭ খ্রিস্টাব্দে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন। বাংলা সাহিত্যের একজন বিশিষ্ট কবি হিসেবে তিনি তাঁর সময়ের সমাজব্যবস্থা, নৈতিকতা, এবং মানবিক মূল্যবোধের ওপর লেখনীতে জোর দিয়েছেন। ‘বড় কে’ কবিতায় তিনি প্রকৃত ‘বড় মানুষ’ হওয়ার প্রকৃত পরিচয় তুলে ধরেছেন। এই...
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 308 Views 0 Προεπισκόπηση
  • যদি রাত পোহালে শোনা যেত লেখক কে?
    'যদি রাত পোহালে শোনা যেত' গানটি বাংলাদেশের সংগীত ইতিহাসে একটি অনন্য সৃষ্টি। গানটির গীতিকার হলেন হাসান মতিউর রহমান, এবং এটি সুর করেছেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রখ্যাত শিল্পী মলয় কুমার গাঙ্গুলী। গানটি প্রথমবার গেয়েছিলেন মলয় কুমার গাঙ্গুলী ও প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমীন। ১৯৯০ সালে রচিত এই গানটি বাঙালির হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতীক। এর...
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 318 Views 0 Προεπισκόπηση
  • The Spirit of Laws গ্রন্থের লেখক কে?
    'The Spirit of Laws' (মূল ফরাসি নাম: De l'esprit des lois) গ্রন্থের লেখক হলেন মন্টেস্কিউ (Montesquieu)। পুরো নাম চার্লস-লুই দ্য সেকেন্ডা, ব্যারন দে লা ব্রেদ ও দে মঁতেস্ক্যু (Charles-Louis de Secondat, Baron de La Brède et de Montesquieu)। এই গ্রন্থটি ১৭৪৮ সালে প্রকাশিত হয় এবং এটি আধুনিক রাজনৈতিক ও আইনগত দর্শনের অন্যতম ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। 'The Spirit of Laws' বইতে মঁতেস্ক্যু...
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 290 Views 0 Προεπισκόπηση
  • Introduction to Social Work' গ্রন্থের লেখক কে?
    সমাজকর্ম (Social Work) একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মানবিক পেশা। এটি মানুষের কল্যাণ, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, এবং সমাজের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখে। সমাজকর্মের মূল ধারণা এবং পেশাগত দিক নিয়ে রচিত অসংখ্য বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি বই হলো 'Introduction to Social Work'। এই গ্রন্থের রচয়িতা হলেন রেক্স এ. স্কিডমোর (Rex A. Skidmore) এবং এম. জি. থ্যাকারি (M.G. Thackeray)। এটি...
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 308 Views 0 Προεπισκόπηση
  • দুই বন্ধু মরুভূমির পথ ধরে হাঁটছিল। গরম রোদের তাপে ক্লান্ত, তবুও এগিয়ে চলেছিল তারা। হঠাৎ তাদের মধ্যে তর্ক শুরু হল। তর্ক বাড়তে বাড়তে এমন পর্যায়ে গেল যে, এক বন্ধু আরেক বন্ধুর মুখে আচমকা ঘুষি বসিয়ে দিল। আঘাত খেয়ে আহত বন্ধুটি কিছু না বলে বালুর ওপর লিখল, “আজ আমার বন্ধু আমার মুখে ঘুষি মেরেছে।”

    কিছুক্ষণ পর তাদের মনোমালিন্যও মিলিয়ে গেল, আর তারা আবারও একসঙ্গে পথ চলা শুরু করল। কিছুদূর এগিয়ে একটি ঝরনার কাছে এসে পৌঁছালো তারা। পানির কোলাহল তাদের ক্লান্তি কিছুটা লাঘব করল। ঝরনা পার হওয়ার সময় সেই বন্ধুটি যাকে ঘুষি মারা হয়েছিল, পাথরে পা হড়কে পানির স্রোতে ভেসে যেতে বসলো। সে সাঁতার জানত না, তাই তীব্র আতঙ্কে চিৎকার করতে শুরু করল। ঠিক তখনই তার বন্ধু কোনো কিছু না ভেবে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে উদ্ধার করল এবং মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচালো।

    এই ঘটনার পর ঘুষি খাওয়া বন্ধুটি পাথরের ওপর খোদাই করে লিখল, “আজ আমার বন্ধু আমাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছে।”

    এটা দেখে প্রথম বন্ধুটি অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করল, “কিরে, যখন তোকে চড় মারলাম তখন লিখলি বালিতে, আর আজ যখন বাঁচালাম তখন লিখলি পাথরে! এর কারণ কি?”

    বন্ধুটি মৃদু হেসে উত্তর দিল, “যখন কেউ আমাদের কষ্ট দেয়, সেটা বালিতে লিখতে হয়, যাতে ভালবাসা আর মায়ার বাতাস এসে তা মুছে ফেলতে পারে। কিন্তু যখন কেউ আমাদের উপকার করে, সেটা পাথরে খোদাই করতে হয়, যাতে কোনোদিনও তা মুছে না যায়।”

    বাস্তবে আমরা প্রায়ই এই শিক্ষাটিকে ভুলে যাই। ক্ষতির জন্য রাগ, হিংসা বা ঘৃণাকে মনে আঁকড়ে ধরি, অথচ উপকারের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভুলে যাই। এই মনোভাব সম্পর্ক নষ্ট করে, সমাজে বিভেদ ও বৈষম্যের সৃষ্টি করে।

    তাই আমাদের উচিত যে কেউ কোনো ভুল করলে তা ভুলে যাওয়া এবং ক্ষমা করে দেওয়া। আর কেউ যদি আমাদের সাহায্য করে, সেটা মনে রেখে কৃতজ্ঞ থাকা। এভাবেই ছোট ছোট ভালো কাজের মাধ্যমে আমরা সাম্যের সমাজ গড়ে তুলতে পারি। প্রত্যেকে নিজের কাজটা সঠিকভাবে করলে সমাজে শান্তি এবং সৌহার্দ্য বজায় থাকবে।

    একটা উন্নত সমাজ গড়তে হলে, আগে আমাদের নিজেদের মানসিকতা ও আচরণ পরিবর্তন করতে হবে। একজন অন্যের পাশে দাঁড়ালে, তবেই সামগ্রিক পরিবর্তন সম্ভব হবে।
    #story
    দুই বন্ধু মরুভূমির পথ ধরে হাঁটছিল। গরম রোদের তাপে ক্লান্ত, তবুও এগিয়ে চলেছিল তারা। হঠাৎ তাদের মধ্যে তর্ক শুরু হল। তর্ক বাড়তে বাড়তে এমন পর্যায়ে গেল যে, এক বন্ধু আরেক বন্ধুর মুখে আচমকা ঘুষি বসিয়ে দিল। আঘাত খেয়ে আহত বন্ধুটি কিছু না বলে বালুর ওপর লিখল, “আজ আমার বন্ধু আমার মুখে ঘুষি মেরেছে।” কিছুক্ষণ পর তাদের মনোমালিন্যও মিলিয়ে গেল, আর তারা আবারও একসঙ্গে পথ চলা শুরু করল। কিছুদূর এগিয়ে একটি ঝরনার কাছে এসে পৌঁছালো তারা। পানির কোলাহল তাদের ক্লান্তি কিছুটা লাঘব করল। ঝরনা পার হওয়ার সময় সেই বন্ধুটি যাকে ঘুষি মারা হয়েছিল, পাথরে পা হড়কে পানির স্রোতে ভেসে যেতে বসলো। সে সাঁতার জানত না, তাই তীব্র আতঙ্কে চিৎকার করতে শুরু করল। ঠিক তখনই তার বন্ধু কোনো কিছু না ভেবে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে উদ্ধার করল এবং মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচালো। এই ঘটনার পর ঘুষি খাওয়া বন্ধুটি পাথরের ওপর খোদাই করে লিখল, “আজ আমার বন্ধু আমাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছে।” এটা দেখে প্রথম বন্ধুটি অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করল, “কিরে, যখন তোকে চড় মারলাম তখন লিখলি বালিতে, আর আজ যখন বাঁচালাম তখন লিখলি পাথরে! এর কারণ কি?” বন্ধুটি মৃদু হেসে উত্তর দিল, “যখন কেউ আমাদের কষ্ট দেয়, সেটা বালিতে লিখতে হয়, যাতে ভালবাসা আর মায়ার বাতাস এসে তা মুছে ফেলতে পারে। কিন্তু যখন কেউ আমাদের উপকার করে, সেটা পাথরে খোদাই করতে হয়, যাতে কোনোদিনও তা মুছে না যায়।” বাস্তবে আমরা প্রায়ই এই শিক্ষাটিকে ভুলে যাই। ক্ষতির জন্য রাগ, হিংসা বা ঘৃণাকে মনে আঁকড়ে ধরি, অথচ উপকারের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভুলে যাই। এই মনোভাব সম্পর্ক নষ্ট করে, সমাজে বিভেদ ও বৈষম্যের সৃষ্টি করে। তাই আমাদের উচিত যে কেউ কোনো ভুল করলে তা ভুলে যাওয়া এবং ক্ষমা করে দেওয়া। আর কেউ যদি আমাদের সাহায্য করে, সেটা মনে রেখে কৃতজ্ঞ থাকা। এভাবেই ছোট ছোট ভালো কাজের মাধ্যমে আমরা সাম্যের সমাজ গড়ে তুলতে পারি। প্রত্যেকে নিজের কাজটা সঠিকভাবে করলে সমাজে শান্তি এবং সৌহার্দ্য বজায় থাকবে। একটা উন্নত সমাজ গড়তে হলে, আগে আমাদের নিজেদের মানসিকতা ও আচরণ পরিবর্তন করতে হবে। একজন অন্যের পাশে দাঁড়ালে, তবেই সামগ্রিক পরিবর্তন সম্ভব হবে। #story
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 308 Views 0 Προεπισκόπηση
  • ### প্রথম দেখা

    সোনাগাছির এক গরম সন্ধ্যায়, রাস্তার এক মোড়ের সামনে স্বপ্না তার দৈনন্দিন কাজকর্মে ব্যস্ত ছিল। হঠাৎ করেই একজন লোক তার দিকে এগিয়ে আসল।

    **ব্যক্তি:** নাম কি তোমার?

    **স্বপ্না:** কেন নাম দিয়ে ধুয়ে খাবেন, স্বপ্না আমার নাম।

    **ব্যক্তি:** বয়স কত?

    **স্বপ্না:** কেন বাবু, বয়স শুনলে ২০০ আরো বেশি দেবেন?

    **ব্যক্তি:** এমনভাবে কথা বলছো কেন?

    **স্বপ্না:** ভালোভাবে কথা বলার জন্য তো এক্সট্রা পয়সা দেননি, বাবু!

    ### কথোপকথনের খোঁজ

    ব্যক্তিটি কিছুটা অস্বস্তিতে ছিল, কিন্তু স্বপ্নার সরাসরি কথায় সে মনোযোগী হয়।

    **ব্যক্তি:** তা বলে এইভাবে কথা বলার জন্যও তো কম পয়সা নাওনি?

    **স্বপ্না:** বাবু, পয়সা তো শুধু শরীরের জন্যই, কেনোই বা সময় নষ্ট করছেন, শুরু করুন!

    **ব্যক্তি:** সিগারেট খেতে পারি একটা?

    **স্বপ্না:** খান না, আমাকে জিজ্ঞেস করছেন কেন!

    **ব্যক্তি:** না মানে, যদি সমস্যা থাকে…

    **স্বপ্না:** বাব্বা, পারি না গো পারিনা, ***তে এসে এতো ন্যাকামো আসে কিভাবে আপনার!

    ### সত্যিকারের দুঃখ

    স্বপ্নার মুখে যেন নিজের জীবনের এক অন্ধকার গল্প ফুটে ওঠে।

    **ব্যক্তি:** এমন কেন বলছো? সমস্যা তো থাকতেই পারে অনেকের সিগারেটে!

    **স্বপ্না:** বাবু, সমস্যা তো প্রাণীর থাকে, আমরা তো জড়ো পদার্থ।

    **ব্যক্তি:** একটু বেশিই বাজে বকছো, সমস্যা আছে কিনা তাই জিজ্ঞেস করলাম!

    **স্বপ্না:** তবে রে, অনেকক্ষন ধরে বড্ডো ***চ্ছেন, এবার নিজের সমস্যা দূর করে বিদায় হন তো, শুরু করুন!

    **ব্যক্তি:** হ্যাঁ।

    **স্বপ্না:** খুলবো? না নিজেই খুলবেন?

    **ব্যক্তি:** হ্যাঁ… না… হ্যাঁ আমিই.. না…

    **স্বপ্না:** ওহ বুঝেছি, সোনাগাছিতে প্রথমবার?

    **ব্যক্তিটি:** হ্যাঁ।

    **স্বপ্না:** কেনো? গার্লফ্রেন্ড দেয়নি?

    **ব্যক্তি:** না না, গার্লফ্রেন্ড টালফ্রেন্ড নেই।

    **স্বপ্না:** এমন গা জ্বালানো পাবলিক হলে গার্লফ্রেন্ড হবেই বা কি করে!

    **ব্যক্তি:** না না, আমি বিবাহিত!!

    **স্বপ্না:** তো? বউ কি রাতে ডিস্কো গেছে? আর আপনি এলেন সোনাগাছি? সত্যিই মাইরি, আপনারা বড়লোকরাই পারেন এমন নাটক ***তে!

    ### আবেগের প্রকাশ

    ব্যক্তিটির কণ্ঠে আবেগের ছোঁয়া স্পষ্ট।

    **ব্যক্তি:** না না, আমি ওই জন্য আসিনি, বউকে খুঁজতে এসেছি!

    **স্বপ্না:** মানে?

    **ব্যক্তি:** হ্যাঁ, জানেন.... রাতে শপিং করে ফিরছিলাম দুজনেই, আমি আর আমার স্ত্রী উত্তরা, হঠাৎ ৪ জন এলো, আমাদের দুজনের মুখে রুমাল চেপে ধরলো, জ্ঞান ফিরলো যখন, পরদিন সকালে আমি স্থানীয় একটা হসপিটালে বেডে শুয়ে আছি, উত্তরা নেই, অনেক খুঁজেছি জানেন, কোথাও পাইনি।

    **স্বপ্না:** তা, হঠাৎ আজ রাতে সোনাগাছিতে একরাতের জন্য বউ খুঁজতে এলেন বুঝি?

    **ব্যক্তি:** না, বলছি, প্লিজ পুরোটা শুনুন, ওই রাতের ঘটনার ২৬ দিনের মাথায় মানে গতকাল স্ত্রীর ফোন আসে, শুধু বললো সোনাগাছিতে এসে আমাকে নিয়ে যেও, নাম আমার নিশা…. আমি কিছু বলার আগেই ফোনটা কেটে দিলো উত্তরা। বুঝতে পেরেছিলাম হয়তো ৫ সেকেন্ডের সুযোগটাই পেয়েছিলো আমাকে জানানোর জন্য। তারপর কাল থেকে যতবার ফোন করেছি ওই নম্বরে, ফোন লাগে নি আর.… তাই আমি খুঁজতে এসেছি উত্তরাকে!! জানি এতো বড় সোনাগাছিতে আমার স্ত্রীকে খোঁজা সম্ভব নয়, শুধু চাই তোমার মতো একজন বন্ধু যে আমার স্ত্রীকে খুঁজে বের করে দেবে এই নরক থেকে। প্লিজ তুমি খুঁজে দাও আমার উত্তরাকে, যা লাগবে আমি তোমাকে দেবো!!

    **স্বপ্না:** আমার কি লাগবে সে দাবি না হয় আপনাকে পরেই বলবো, তবে পারবেন নিজের স্ত্রীকে এখান থেকে ফিরিয়ে নিতে সব কিছু জেনেও?

    **ব্যক্তি:** কেনো পারবো না? আমি তো বেশ্যা নিশাকে কিনতে আসিনি, স্ত্রী উত্তরা কে ফেরাতে এসেছি! তুমি তো কত দালাল, কত মাসি কে চেনো…. প্লিজ ফিরিয়ে দাও আমার উত্তরা কে!!

    **স্বপ্না:** আচ্ছা, আপনার নম্বরটা দিয়ে যান, আমি আপনাকে জানাবো কথা দিলাম যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।

    ### আশা ও সহানুভূতি

    স্বপ্না কিছুদিন পর ব্যক্তিটিকে ফোন করে খবর দেয়।

    **স্বপ্না:** শুনছেন? নিশার খবর পেয়েছি.... আমার বিল্ডিঙের ডান দিকের ৩ নং বিল্ডিয়েই নিশা থাকে, এখানে নতুন তো তাই হাতে ফোন পায়না, আর হ্যাঁ, হয়তো কোনো বাবুর ফোন থেকেই আপনাকে সেদিন ৫ সেকেন্ডের জন্য ফোন করতে পেরেছিলো, নিয়ে যান আপনার নিশাকে!!

    ### উদ্ধার ও নতুন সম্পর্ক

    পুলিশের সাথে নিয়ে স্বপ্না ব্যক্তিটিকে নিশা (অর্থাৎ উত্তরা) উদ্ধার করে। ফেরার পথে তারা স্বপ্নার সাথে দেখা করে।

    **ব্যক্তি:** কি বলে ধন্যবাদ দেবো তোমায়, নিজেও জানিনা, এবার বলো তোমার কত টাকা লাগবে?

    **স্বপ্না:** টাকা লাগবে না, টাকার থেকেও অনেক বেশি কিছু আপনি আমাকে দিয়ে গেলেন, বাবু!!

    **ব্যক্তি:** মানে? কি বলতে চাইছো? কিছুই বুঝলাম না…

    **স্বপ্না:** জানেন বাবু? আজ থেকে ৩ বছর আগে গ্রামেরই একটা ছেলে কে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম, খুব ভালোবাসতাম!! বাবা মা মানে নি তাই পালিয়ে বিয়ে করেছিলাম…. জানেন বাবু? বিয়ের ১৯ দিনের মাথায় আমাকে এই নরকে বিক্রি করে দিয়ে যায় ১৩ হাজার টাকায়!! অনেকবার এখান থেকে পালিয়ে যাবার চান্স পেয়েছিলাম, কিন্তু কোথায় যাবো বলুন, বাবা-মার সামনে কোন মুখে দাঁড়াবো, রাস্তায় নামলেও তো সেই আমাকে ছিঁড়েই খাবে সমাজের বাবুরা রাতের অন্ধকারে, আর দিনের বেলায় খেপি সাজিয়ে রাখবে রেল স্টেশনের চাঁতালে!! তার থেকে বরং এখানে দিব্যি খেতে বাঁচতে তো পারছি!! বিশ্বাস করুন বাবু, সেদিন থেকে কোনো পুরুষ কে মন থেকে সহ্য করতে পারি না, কোনো পুরুষ কে বিশ্বাস করতেও পারিনা, শুধু এটাই মনে হতো সব পুরুষ সমান…. ৩ দিন আগে আপনি আমার সেই ভুল ভাঙলেন। নতুন করে বিশ্বাস করতে শিখলাম, একটা পুরুষ যেমন তার স্ত্রীকে বিক্রি করতেও পারে সোনাগাছিতে, তেমন কোনো পুরুষ তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতেও পারে সোনাগাছি থেকে!! গতর খাটিয়ে পয়সা তো ৩ বছরে অনেক রোজগার করেছি বাবু, তবে ৩ বছরে যে ভুলটা রোজ ভেবে এসেছি, সেই ভুলটা আপনি ৫ মিনিটেই ভেঙে দিলেন। যেটা পয়সার থেকেও অনেক দামি!! যান বাবু, ভালো থাকবেন আপনার উত্তরা কে নিয়ে!! আর অনেক ধন্যবাদ এই সত্যিটা আমাকে বুঝিয়ে দিয়ে যাবার জন্য “সব পুরুষ সমান নয়”….. কেউ রেখে যায়, কেউ নিয়ে যায়….!! কেউ রাখতে আসে, কেউ ফেরাতে আসে….!!

    ### সমাপ্তি

    স্বপ্নার হৃদয়ে এক নতুন আশা জেগে ওঠে। তিন বছর যাবত তাকে হতাশা ও একাকীত্বে ভরিয়ে রাখলেও, আজ একজন মানুষের সহানুভূতি ও সহায়তায় সে নিজের জীবনে নতুন আলো দেখতে পায়। তার আত্মনির্ভরশীলতা ও সাহসিকতা তাকে শুধু নিজের জীবন নয়, অন্যের জীবনও বদলে দিতে সক্ষম হয়েছে। স্বপ্না বুঝতে পারে, জীবনের কঠিন পথে একা চলার থেকেও ভালো, কখনো কখনো মানুষের সহানুভূতি ও ভালোবাসা জীবনে নতুন অর্থ যোগ করে দেয়।

    **শেষ।**
    #story
    ### প্রথম দেখা সোনাগাছির এক গরম সন্ধ্যায়, রাস্তার এক মোড়ের সামনে স্বপ্না তার দৈনন্দিন কাজকর্মে ব্যস্ত ছিল। হঠাৎ করেই একজন লোক তার দিকে এগিয়ে আসল। **ব্যক্তি:** নাম কি তোমার? **স্বপ্না:** কেন নাম দিয়ে ধুয়ে খাবেন, স্বপ্না আমার নাম। **ব্যক্তি:** বয়স কত? **স্বপ্না:** কেন বাবু, বয়স শুনলে ২০০ আরো বেশি দেবেন? **ব্যক্তি:** এমনভাবে কথা বলছো কেন? **স্বপ্না:** ভালোভাবে কথা বলার জন্য তো এক্সট্রা পয়সা দেননি, বাবু! ### কথোপকথনের খোঁজ ব্যক্তিটি কিছুটা অস্বস্তিতে ছিল, কিন্তু স্বপ্নার সরাসরি কথায় সে মনোযোগী হয়। **ব্যক্তি:** তা বলে এইভাবে কথা বলার জন্যও তো কম পয়সা নাওনি? **স্বপ্না:** বাবু, পয়সা তো শুধু শরীরের জন্যই, কেনোই বা সময় নষ্ট করছেন, শুরু করুন! **ব্যক্তি:** সিগারেট খেতে পারি একটা? **স্বপ্না:** খান না, আমাকে জিজ্ঞেস করছেন কেন! **ব্যক্তি:** না মানে, যদি সমস্যা থাকে… **স্বপ্না:** বাব্বা, পারি না গো পারিনা, ***তে এসে এতো ন্যাকামো আসে কিভাবে আপনার! ### সত্যিকারের দুঃখ স্বপ্নার মুখে যেন নিজের জীবনের এক অন্ধকার গল্প ফুটে ওঠে। **ব্যক্তি:** এমন কেন বলছো? সমস্যা তো থাকতেই পারে অনেকের সিগারেটে! **স্বপ্না:** বাবু, সমস্যা তো প্রাণীর থাকে, আমরা তো জড়ো পদার্থ। **ব্যক্তি:** একটু বেশিই বাজে বকছো, সমস্যা আছে কিনা তাই জিজ্ঞেস করলাম! **স্বপ্না:** তবে রে, অনেকক্ষন ধরে বড্ডো ***চ্ছেন, এবার নিজের সমস্যা দূর করে বিদায় হন তো, শুরু করুন! **ব্যক্তি:** হ্যাঁ। **স্বপ্না:** খুলবো? না নিজেই খুলবেন? **ব্যক্তি:** হ্যাঁ… না… হ্যাঁ আমিই.. না… **স্বপ্না:** ওহ বুঝেছি, সোনাগাছিতে প্রথমবার? **ব্যক্তিটি:** হ্যাঁ। **স্বপ্না:** কেনো? গার্লফ্রেন্ড দেয়নি? **ব্যক্তি:** না না, গার্লফ্রেন্ড টালফ্রেন্ড নেই। **স্বপ্না:** এমন গা জ্বালানো পাবলিক হলে গার্লফ্রেন্ড হবেই বা কি করে! **ব্যক্তি:** না না, আমি বিবাহিত!! **স্বপ্না:** তো? বউ কি রাতে ডিস্কো গেছে? আর আপনি এলেন সোনাগাছি? সত্যিই মাইরি, আপনারা বড়লোকরাই পারেন এমন নাটক ***তে! ### আবেগের প্রকাশ ব্যক্তিটির কণ্ঠে আবেগের ছোঁয়া স্পষ্ট। **ব্যক্তি:** না না, আমি ওই জন্য আসিনি, বউকে খুঁজতে এসেছি! **স্বপ্না:** মানে? **ব্যক্তি:** হ্যাঁ, জানেন.... রাতে শপিং করে ফিরছিলাম দুজনেই, আমি আর আমার স্ত্রী উত্তরা, হঠাৎ ৪ জন এলো, আমাদের দুজনের মুখে রুমাল চেপে ধরলো, জ্ঞান ফিরলো যখন, পরদিন সকালে আমি স্থানীয় একটা হসপিটালে বেডে শুয়ে আছি, উত্তরা নেই, অনেক খুঁজেছি জানেন, কোথাও পাইনি। **স্বপ্না:** তা, হঠাৎ আজ রাতে সোনাগাছিতে একরাতের জন্য বউ খুঁজতে এলেন বুঝি? **ব্যক্তি:** না, বলছি, প্লিজ পুরোটা শুনুন, ওই রাতের ঘটনার ২৬ দিনের মাথায় মানে গতকাল স্ত্রীর ফোন আসে, শুধু বললো সোনাগাছিতে এসে আমাকে নিয়ে যেও, নাম আমার নিশা…. আমি কিছু বলার আগেই ফোনটা কেটে দিলো উত্তরা। বুঝতে পেরেছিলাম হয়তো ৫ সেকেন্ডের সুযোগটাই পেয়েছিলো আমাকে জানানোর জন্য। তারপর কাল থেকে যতবার ফোন করেছি ওই নম্বরে, ফোন লাগে নি আর.… তাই আমি খুঁজতে এসেছি উত্তরাকে!! জানি এতো বড় সোনাগাছিতে আমার স্ত্রীকে খোঁজা সম্ভব নয়, শুধু চাই তোমার মতো একজন বন্ধু যে আমার স্ত্রীকে খুঁজে বের করে দেবে এই নরক থেকে। প্লিজ তুমি খুঁজে দাও আমার উত্তরাকে, যা লাগবে আমি তোমাকে দেবো!! **স্বপ্না:** আমার কি লাগবে সে দাবি না হয় আপনাকে পরেই বলবো, তবে পারবেন নিজের স্ত্রীকে এখান থেকে ফিরিয়ে নিতে সব কিছু জেনেও? **ব্যক্তি:** কেনো পারবো না? আমি তো বেশ্যা নিশাকে কিনতে আসিনি, স্ত্রী উত্তরা কে ফেরাতে এসেছি! তুমি তো কত দালাল, কত মাসি কে চেনো…. প্লিজ ফিরিয়ে দাও আমার উত্তরা কে!! **স্বপ্না:** আচ্ছা, আপনার নম্বরটা দিয়ে যান, আমি আপনাকে জানাবো কথা দিলাম যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। ### আশা ও সহানুভূতি স্বপ্না কিছুদিন পর ব্যক্তিটিকে ফোন করে খবর দেয়। **স্বপ্না:** শুনছেন? নিশার খবর পেয়েছি.... আমার বিল্ডিঙের ডান দিকের ৩ নং বিল্ডিয়েই নিশা থাকে, এখানে নতুন তো তাই হাতে ফোন পায়না, আর হ্যাঁ, হয়তো কোনো বাবুর ফোন থেকেই আপনাকে সেদিন ৫ সেকেন্ডের জন্য ফোন করতে পেরেছিলো, নিয়ে যান আপনার নিশাকে!! ### উদ্ধার ও নতুন সম্পর্ক পুলিশের সাথে নিয়ে স্বপ্না ব্যক্তিটিকে নিশা (অর্থাৎ উত্তরা) উদ্ধার করে। ফেরার পথে তারা স্বপ্নার সাথে দেখা করে। **ব্যক্তি:** কি বলে ধন্যবাদ দেবো তোমায়, নিজেও জানিনা, এবার বলো তোমার কত টাকা লাগবে? **স্বপ্না:** টাকা লাগবে না, টাকার থেকেও অনেক বেশি কিছু আপনি আমাকে দিয়ে গেলেন, বাবু!! **ব্যক্তি:** মানে? কি বলতে চাইছো? কিছুই বুঝলাম না… **স্বপ্না:** জানেন বাবু? আজ থেকে ৩ বছর আগে গ্রামেরই একটা ছেলে কে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম, খুব ভালোবাসতাম!! বাবা মা মানে নি তাই পালিয়ে বিয়ে করেছিলাম…. জানেন বাবু? বিয়ের ১৯ দিনের মাথায় আমাকে এই নরকে বিক্রি করে দিয়ে যায় ১৩ হাজার টাকায়!! অনেকবার এখান থেকে পালিয়ে যাবার চান্স পেয়েছিলাম, কিন্তু কোথায় যাবো বলুন, বাবা-মার সামনে কোন মুখে দাঁড়াবো, রাস্তায় নামলেও তো সেই আমাকে ছিঁড়েই খাবে সমাজের বাবুরা রাতের অন্ধকারে, আর দিনের বেলায় খেপি সাজিয়ে রাখবে রেল স্টেশনের চাঁতালে!! তার থেকে বরং এখানে দিব্যি খেতে বাঁচতে তো পারছি!! বিশ্বাস করুন বাবু, সেদিন থেকে কোনো পুরুষ কে মন থেকে সহ্য করতে পারি না, কোনো পুরুষ কে বিশ্বাস করতেও পারিনা, শুধু এটাই মনে হতো সব পুরুষ সমান…. ৩ দিন আগে আপনি আমার সেই ভুল ভাঙলেন। নতুন করে বিশ্বাস করতে শিখলাম, একটা পুরুষ যেমন তার স্ত্রীকে বিক্রি করতেও পারে সোনাগাছিতে, তেমন কোনো পুরুষ তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতেও পারে সোনাগাছি থেকে!! গতর খাটিয়ে পয়সা তো ৩ বছরে অনেক রোজগার করেছি বাবু, তবে ৩ বছরে যে ভুলটা রোজ ভেবে এসেছি, সেই ভুলটা আপনি ৫ মিনিটেই ভেঙে দিলেন। যেটা পয়সার থেকেও অনেক দামি!! যান বাবু, ভালো থাকবেন আপনার উত্তরা কে নিয়ে!! আর অনেক ধন্যবাদ এই সত্যিটা আমাকে বুঝিয়ে দিয়ে যাবার জন্য “সব পুরুষ সমান নয়”….. কেউ রেখে যায়, কেউ নিয়ে যায়….!! কেউ রাখতে আসে, কেউ ফেরাতে আসে….!! ### সমাপ্তি স্বপ্নার হৃদয়ে এক নতুন আশা জেগে ওঠে। তিন বছর যাবত তাকে হতাশা ও একাকীত্বে ভরিয়ে রাখলেও, আজ একজন মানুষের সহানুভূতি ও সহায়তায় সে নিজের জীবনে নতুন আলো দেখতে পায়। তার আত্মনির্ভরশীলতা ও সাহসিকতা তাকে শুধু নিজের জীবন নয়, অন্যের জীবনও বদলে দিতে সক্ষম হয়েছে। স্বপ্না বুঝতে পারে, জীবনের কঠিন পথে একা চলার থেকেও ভালো, কখনো কখনো মানুষের সহানুভূতি ও ভালোবাসা জীবনে নতুন অর্থ যোগ করে দেয়। **শেষ।** #story
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 245 Views 0 Προεπισκόπηση
  • শ্বশুরবাড়ির সবচেয়ে বেয়াদব বউটিকে নিয়ে গল্প শুরু হয় বিয়ের পরপরই। পরিবারটির মানসিকতা আর রুচির সঙ্গে তার আচরণ যেন কিছুতেই মানাতে পারে না। ঘুমিয়ে থাকা, সালোয়ার-কামিজ পরা, মাছ পছন্দ করা—এসবই তাদের চোখে অপরাধ। যেটা সবচেয়ে অপছন্দের, সেটা হলো তার স্পষ্টভাষী হওয়া। মুখের ওপর যা সত্য, তাই বলে দেন। এ কারণে বারবার সমালোচনা শুনতে হয়। শাশুড়ি আর অন্যান্য আত্মীয়দের নিত্য অভিযোগ, "মা কিছু শিখায় নাই?" অথচ তারা জানে, তার মা আর বেঁচে নেই।

    বিয়ের প্রথম কিছু বছর তার জন্য ছিল এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। শাশুড়ি আর দুই আত্মীয়া তার নামে অহেতুক কুৎসা রটাতে লাগল। এমনও হয়েছে যে তার স্বামীকে ভুল বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলেছে। তিনি ভেবেছিলেন হয়তো একটু মানিয়ে চললে সবাই ভালোবাসবে, তবে সময়ের সঙ্গে বুঝলেন এই আশা বৃথা। তাই তিনি নিজের মতো চলার সিদ্ধান্ত নিলেন, সমালোচনাগুলোকে পাত্তা না দিয়ে।

    ধীরে ধীরে তার জীবনের মোড় ঘুরে যায়। তিনি নিজেকে আত্মনির্ভর করে তোলেন। কাজ শুরু করেন এবং নিজের অর্থ উপার্জন শুরু করেন। কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস আর সাহস নিয়ে নিজের মতো করে জীবন গড়তে থাকেন। তখনই শুরু হয় সম্পর্কের বদল। যারা একসময় তাকে "চটপটে" বলে বিদ্রূপ করত, তারা এখন তাকে খুশি করতে ব্যস্ত। তার রান্না একসময় নাক সিটকিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হতো, এখন তারই হাতের রান্না খেতে তাদের আগ্রহ ধরে না। যারা ফোন ব্যবহারের জন্য তিরস্কার করত, তারা এখন তার ফোন নিয়ে থাকা দেখে কিছু বলে না।

    এই পরিবর্তন দেখে তিনি বুঝলেন যে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার গুরুত্ব কতখানি। নিজের উপার্জন তাকে শুধু সম্মানই এনে দেয়নি, বরং তার কথাকে মূল্য দিতেও বাধ্য করেছে। এই ক'বছরের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি উপলব্ধি করলেন—অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন না হলে সমাজের সম্মান পাওয়া কঠিন। পরিবারে যারা একসময় তাকে বোঝা মনে করত, তারা এখন তাকে মাথায় করে রাখে, শুধু তার উপার্জনের জন্যই।

    তিনি এখন বিশ্বাস করেন, "মানি ইজ সেকেন্ড গড"—অর্থের কারণে তাকে সম্মান দেওয়া হচ্ছে, যদিও ভালোবাসা নয়। তবু আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠার গুরুত্ব তাকে জীবনের কঠিন সত্য শিখিয়েছে।
    #story
    শ্বশুরবাড়ির সবচেয়ে বেয়াদব বউটিকে নিয়ে গল্প শুরু হয় বিয়ের পরপরই। পরিবারটির মানসিকতা আর রুচির সঙ্গে তার আচরণ যেন কিছুতেই মানাতে পারে না। ঘুমিয়ে থাকা, সালোয়ার-কামিজ পরা, মাছ পছন্দ করা—এসবই তাদের চোখে অপরাধ। যেটা সবচেয়ে অপছন্দের, সেটা হলো তার স্পষ্টভাষী হওয়া। মুখের ওপর যা সত্য, তাই বলে দেন। এ কারণে বারবার সমালোচনা শুনতে হয়। শাশুড়ি আর অন্যান্য আত্মীয়দের নিত্য অভিযোগ, "মা কিছু শিখায় নাই?" অথচ তারা জানে, তার মা আর বেঁচে নেই। বিয়ের প্রথম কিছু বছর তার জন্য ছিল এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। শাশুড়ি আর দুই আত্মীয়া তার নামে অহেতুক কুৎসা রটাতে লাগল। এমনও হয়েছে যে তার স্বামীকে ভুল বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলেছে। তিনি ভেবেছিলেন হয়তো একটু মানিয়ে চললে সবাই ভালোবাসবে, তবে সময়ের সঙ্গে বুঝলেন এই আশা বৃথা। তাই তিনি নিজের মতো চলার সিদ্ধান্ত নিলেন, সমালোচনাগুলোকে পাত্তা না দিয়ে। ধীরে ধীরে তার জীবনের মোড় ঘুরে যায়। তিনি নিজেকে আত্মনির্ভর করে তোলেন। কাজ শুরু করেন এবং নিজের অর্থ উপার্জন শুরু করেন। কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস আর সাহস নিয়ে নিজের মতো করে জীবন গড়তে থাকেন। তখনই শুরু হয় সম্পর্কের বদল। যারা একসময় তাকে "চটপটে" বলে বিদ্রূপ করত, তারা এখন তাকে খুশি করতে ব্যস্ত। তার রান্না একসময় নাক সিটকিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হতো, এখন তারই হাতের রান্না খেতে তাদের আগ্রহ ধরে না। যারা ফোন ব্যবহারের জন্য তিরস্কার করত, তারা এখন তার ফোন নিয়ে থাকা দেখে কিছু বলে না। এই পরিবর্তন দেখে তিনি বুঝলেন যে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার গুরুত্ব কতখানি। নিজের উপার্জন তাকে শুধু সম্মানই এনে দেয়নি, বরং তার কথাকে মূল্য দিতেও বাধ্য করেছে। এই ক'বছরের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি উপলব্ধি করলেন—অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন না হলে সমাজের সম্মান পাওয়া কঠিন। পরিবারে যারা একসময় তাকে বোঝা মনে করত, তারা এখন তাকে মাথায় করে রাখে, শুধু তার উপার্জনের জন্যই। তিনি এখন বিশ্বাস করেন, "মানি ইজ সেকেন্ড গড"—অর্থের কারণে তাকে সম্মান দেওয়া হচ্ছে, যদিও ভালোবাসা নয়। তবু আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠার গুরুত্ব তাকে জীবনের কঠিন সত্য শিখিয়েছে। #story
    0 Σχόλια 0 Μοιράστηκε 210 Views 0 Προεπισκόπηση
και άλλες ιστορίες