শ্বশুরবাড়ির সবচেয়ে বেয়াদব বউটিকে নিয়ে গল্প শুরু হয় বিয়ের পরপরই। পরিবারটির মানসিকতা আর রুচির সঙ্গে তার আচরণ যেন কিছুতেই মানাতে পারে না। ঘুমিয়ে থাকা, সালোয়ার-কামিজ পরা, মাছ পছন্দ করা—এসবই তাদের চোখে অপরাধ। যেটা সবচেয়ে অপছন্দের, সেটা হলো তার স্পষ্টভাষী হওয়া। মুখের ওপর যা সত্য, তাই বলে দেন। এ কারণে বারবার সমালোচনা শুনতে হয়। শাশুড়ি আর অন্যান্য আত্মীয়দের নিত্য অভিযোগ, "মা কিছু শিখায় নাই?" অথচ তারা জানে, তার মা আর বেঁচে নেই।

বিয়ের প্রথম কিছু বছর তার জন্য ছিল এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। শাশুড়ি আর দুই আত্মীয়া তার নামে অহেতুক কুৎসা রটাতে লাগল। এমনও হয়েছে যে তার স্বামীকে ভুল বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলেছে। তিনি ভেবেছিলেন হয়তো একটু মানিয়ে চললে সবাই ভালোবাসবে, তবে সময়ের সঙ্গে বুঝলেন এই আশা বৃথা। তাই তিনি নিজের মতো চলার সিদ্ধান্ত নিলেন, সমালোচনাগুলোকে পাত্তা না দিয়ে।

ধীরে ধীরে তার জীবনের মোড় ঘুরে যায়। তিনি নিজেকে আত্মনির্ভর করে তোলেন। কাজ শুরু করেন এবং নিজের অর্থ উপার্জন শুরু করেন। কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস আর সাহস নিয়ে নিজের মতো করে জীবন গড়তে থাকেন। তখনই শুরু হয় সম্পর্কের বদল। যারা একসময় তাকে "চটপটে" বলে বিদ্রূপ করত, তারা এখন তাকে খুশি করতে ব্যস্ত। তার রান্না একসময় নাক সিটকিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হতো, এখন তারই হাতের রান্না খেতে তাদের আগ্রহ ধরে না। যারা ফোন ব্যবহারের জন্য তিরস্কার করত, তারা এখন তার ফোন নিয়ে থাকা দেখে কিছু বলে না।

এই পরিবর্তন দেখে তিনি বুঝলেন যে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার গুরুত্ব কতখানি। নিজের উপার্জন তাকে শুধু সম্মানই এনে দেয়নি, বরং তার কথাকে মূল্য দিতেও বাধ্য করেছে। এই ক'বছরের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি উপলব্ধি করলেন—অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন না হলে সমাজের সম্মান পাওয়া কঠিন। পরিবারে যারা একসময় তাকে বোঝা মনে করত, তারা এখন তাকে মাথায় করে রাখে, শুধু তার উপার্জনের জন্যই।

তিনি এখন বিশ্বাস করেন, "মানি ইজ সেকেন্ড গড"—অর্থের কারণে তাকে সম্মান দেওয়া হচ্ছে, যদিও ভালোবাসা নয়। তবু আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠার গুরুত্ব তাকে জীবনের কঠিন সত্য শিখিয়েছে।
#story
শ্বশুরবাড়ির সবচেয়ে বেয়াদব বউটিকে নিয়ে গল্প শুরু হয় বিয়ের পরপরই। পরিবারটির মানসিকতা আর রুচির সঙ্গে তার আচরণ যেন কিছুতেই মানাতে পারে না। ঘুমিয়ে থাকা, সালোয়ার-কামিজ পরা, মাছ পছন্দ করা—এসবই তাদের চোখে অপরাধ। যেটা সবচেয়ে অপছন্দের, সেটা হলো তার স্পষ্টভাষী হওয়া। মুখের ওপর যা সত্য, তাই বলে দেন। এ কারণে বারবার সমালোচনা শুনতে হয়। শাশুড়ি আর অন্যান্য আত্মীয়দের নিত্য অভিযোগ, "মা কিছু শিখায় নাই?" অথচ তারা জানে, তার মা আর বেঁচে নেই। বিয়ের প্রথম কিছু বছর তার জন্য ছিল এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। শাশুড়ি আর দুই আত্মীয়া তার নামে অহেতুক কুৎসা রটাতে লাগল। এমনও হয়েছে যে তার স্বামীকে ভুল বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলেছে। তিনি ভেবেছিলেন হয়তো একটু মানিয়ে চললে সবাই ভালোবাসবে, তবে সময়ের সঙ্গে বুঝলেন এই আশা বৃথা। তাই তিনি নিজের মতো চলার সিদ্ধান্ত নিলেন, সমালোচনাগুলোকে পাত্তা না দিয়ে। ধীরে ধীরে তার জীবনের মোড় ঘুরে যায়। তিনি নিজেকে আত্মনির্ভর করে তোলেন। কাজ শুরু করেন এবং নিজের অর্থ উপার্জন শুরু করেন। কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস আর সাহস নিয়ে নিজের মতো করে জীবন গড়তে থাকেন। তখনই শুরু হয় সম্পর্কের বদল। যারা একসময় তাকে "চটপটে" বলে বিদ্রূপ করত, তারা এখন তাকে খুশি করতে ব্যস্ত। তার রান্না একসময় নাক সিটকিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হতো, এখন তারই হাতের রান্না খেতে তাদের আগ্রহ ধরে না। যারা ফোন ব্যবহারের জন্য তিরস্কার করত, তারা এখন তার ফোন নিয়ে থাকা দেখে কিছু বলে না। এই পরিবর্তন দেখে তিনি বুঝলেন যে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার গুরুত্ব কতখানি। নিজের উপার্জন তাকে শুধু সম্মানই এনে দেয়নি, বরং তার কথাকে মূল্য দিতেও বাধ্য করেছে। এই ক'বছরের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি উপলব্ধি করলেন—অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন না হলে সমাজের সম্মান পাওয়া কঠিন। পরিবারে যারা একসময় তাকে বোঝা মনে করত, তারা এখন তাকে মাথায় করে রাখে, শুধু তার উপার্জনের জন্যই। তিনি এখন বিশ্বাস করেন, "মানি ইজ সেকেন্ড গড"—অর্থের কারণে তাকে সম্মান দেওয়া হচ্ছে, যদিও ভালোবাসা নয়। তবু আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠার গুরুত্ব তাকে জীবনের কঠিন সত্য শিখিয়েছে। #story
Like
Yay
4
1 Comments 0 Shares 312 Views 0 Reviews