৩০ দিনে ১০ টি বই পড়ার চ্যালেঞ্জ

0
343

 বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার এক অভিনব পদ্ধতি

বর্তমান পৃথিবীতে বই পড়ার অভ্যাস দিন দিন কমে যাচ্ছে, যদিও আমরা জানি বই পড়ার অভ্যাস মানুষের মানসিক বিকাশে কতটা সহায়ক। এই অভ্যাসের উন্নতির জন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে একটি হলো "৩০ দিনে ১০টি বই পড়ার চ্যালেঞ্জ"। এই চ্যালেঞ্জটি শুধুমাত্র একজন পাঠককে আরও বেশি বই পড়তে উৎসাহিত করে না, বরং এটি তার জীবনে নতুন জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং আনন্দ এনে দেয়। আজ আমরা জানব কীভাবে এই চ্যালেঞ্জটি একজন পাঠকের জীবনে পরিবর্তন আনতে পারে, এবং কেন এটি অত্যন্ত কার্যকর একটি পদ্ধতি।


১. চ্যালেঞ্জের উদ্দেশ্য এবং উপকারিতা

"৩০ দিনে ১০টি বই পড়ার চ্যালেঞ্জ" এমন একটি লক্ষ্য যা একজন পাঠককে নির্দিষ্ট সময়ে অনেকগুলো বই পড়ার জন্য উৎসাহিত করে। সাধারণত, একজন পাঠক এক মাসে ১০টি বই পড়া সম্ভব বলে মনে করেন না, কিন্তু এই চ্যালেঞ্জটি তাকে ঠিক সেভাবে গড়ে তুলবে, যাতে সে তার পছন্দের বইগুলোর প্রতি মনোযোগী হয়ে পড়ে। এই চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে:

  1. বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা: যখন আপনি প্রতিদিন বই পড়ার জন্য সময় নির্ধারণ করেন, তখন এটি আপনার একটি দৈনন্দিন অভ্যাস হয়ে ওঠে।
  2. মনোযোগ বৃদ্ধি: ১০টি বই পড়া আপনার মস্তিষ্ককে নতুন নতুন চিন্তা ও ধারণা নিয়ে কাজ করতে সাহায্য করে। এতে মনোযোগ এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
  3. অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া: কিছুদিন পর আপনি নিজেকে বই পড়া ছাড়া কিছুই করতে চাইবেন না। এটা আপনার জীবনে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসে।
  4. দক্ষতার উন্নতি: বই পড়ার মাধ্যমে আপনার শব্দভাণ্ডার, ভাষাজ্ঞান এবং চিন্তাভাবনার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
  5. বৈচিত্র্য: এক মাসে ১০টি বই পড়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের সাহিত্য, থিম এবং লেখকদের সাথে পরিচিত হতে পারেন, যা আপনাকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলে।

২. কীভাবে ৩০ দিনে ১০টি বই পড়া সম্ভব?

এটা সত্যিই চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, তবে কিছু কৌশল অবলম্বন করলে এটি বাস্তবায়ন সম্ভব। চলুন, দেখে নেয়া যাক কিভাবে আপনি এই চ্যালেঞ্জটি সফলভাবে পূর্ণ করতে পারেন:

ক) বইয়ের তালিকা তৈরি করুন

প্রথমে আপনাকে একটি তালিকা তৈরি করতে হবে, যেখানে আপনি ৩০ দিন ধরে পড়তে চান এমন ১০টি বইয়ের নাম অন্তর্ভুক্ত করবেন। আপনার তালিকায় বিভিন্ন ধরনের বই রাখতে পারেন—উপন্যাস, গল্প, প্রবন্ধ, আত্মকথা, অথবা শিক্ষামূলক বই। এতে আপনার পড়ার অভিজ্ঞতা বৈচিত্র্যময় হবে। আপনি যদি বই পড়তে নতুন হন, তবে ছোট ছোট বই দিয়ে শুরু করতে পারেন এবং একে একে বড় বইয়ে হাত দিতে পারেন।

খ) প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন

প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে বই পড়া শুরু করতে হবে। ৩০ দিন ধরে বই পড়ার জন্য আপনার প্রতিদিন কিছু সময় নির্ধারণ করা উচিত। আপনি সকালে বা রাতে, কিংবা বিরতিতে কাজের মাঝে বই পড়ার জন্য সময় বের করতে পারেন। ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা দৈনিক পড়াশোনা করলে ৩০ দিনে ১০টি বই পড়া সম্ভব হয়ে উঠবে।

গ) দ্রুত পড়ার কৌশল শিখুন

কিছু মানুষ বই পড়ার সময় দ্রুত পড়ার কৌশল ব্যবহার করে। দ্রুত পড়ার কৌশলগুলি যেমন স্কিমিং (স্ক্যান করে পড়া), স্ক্যানিং (কিছু অংশ পড়ে মূল ভাব ধরা), এবং প্যারাগ্রাফের মূল কথা চিন্তা করা, এগুলো আপনাকে অনেক সময় বাঁচাতে সাহায্য করবে। তবে, এই কৌশলগুলির সাথে বইয়ের মূল ভাব এবং মেসেজ ধরে রাখতে হবে।

ঘ) বইয়ের বিষয়বস্তুর প্রতি আগ্রহ তৈরি করুন

যেহেতু আপনি ১০টি বই পড়বেন, তাই বইয়ের বিষয়বস্তু যদি আগ্রহী না হয়, তবে এটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। চেষ্টা করুন, এমন বই বাছাই করতে যা আপনার আগ্রহের মধ্যে পড়ে। যদি আপনি ফিকশন পছন্দ করেন, তবে উপন্যাস পড়ুন, আর যদি আপনি নন-ফিকশন পছন্দ করেন, তবে সেসব বই পড়ুন যা আপনাকে নতুন কিছু শেখাবে।

ঙ) একসাথে একাধিক বই পড়ুন

আপনি একসাথে একাধিক বই পড়তে পারেন। এটি আপনার পড়ার অভিজ্ঞতাকে আরও মজাদার করে তুলবে। একদিকে যেমন আপনি একটি উপন্যাস পড়তে পারবেন, তেমনি অন্যদিকে আপনি কোনো প্রবন্ধ বা শিক্ষামূলক বই পড়তে পারবেন। বিভিন্ন ধরনের বই পড়লে একঘেয়েমি চলে যায় এবং আগ্রহ বজায় থাকে।


৩. সাফল্যের গল্প এবং উদাহরণ

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বা যেকোনো ব্যস্ত ব্যক্তির জন্য এই চ্যালেঞ্জটি একটি বাস্তবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সম্ভব হতে পারে। অনেকেই এই চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ করেছেন এবং সফলভাবে ৩০ দিনে ১০টি বই পড়ার লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ করেছেন। তাদের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস শেয়ার করা যায়:

  • এশিয়ান সাহিত্যিকেরা যেমন হুমায়ূন আহমেদ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখাগুলো ছোট আকারে হলেও, মনোযোগ সহকারে পড়া অনেক বেশি ফলপ্রসূ।
  • একাডেমিক বই বা গবেষণামূলক বইয়ের ক্ষেত্রে, বই পড়ার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ নোট রাখতে পারেন যা পরে রিভিউ করতে সুবিধা হবে।

বই পড়ার অভ্যাস কিভাবে গড়ে তুলবেন?

১. ছোট লক্ষ্য তৈরি করুন

প্রথমে বড় লক্ষ্য না রেখে ছোট লক্ষ্য তৈরি করুন। যেমন, প্রথম মাসে প্রতি সপ্তাহে একটি বই পড়ার লক্ষ্য রাখুন, এরপর ধীরে ধীরে আপনার লক্ষ্য বাড়াতে পারেন। ছোট লক্ষ্য আপনাকে প্রেরণা দেবে এবং বই পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করবে।

২. প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে বই পড়ুন

বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য একটি সময় নির্ধারণ করুন, যেমন সকাল বা রাতে ঘুমানোর আগে। এই সময়ে আপনি শুধু বই পড়ার জন্য মনোযোগী হবেন এবং অন্যান্য কাজগুলো ছেড়ে একাগ্রভাবে পড়তে পারবেন।

৩. বইয়ের ধরন পরিবর্তন করুন

বই পড়তে একঘেয়েমি চলে আসে যদি আপনি এক ধরনের বই পড়েন। তাই বিভিন্ন ধরনের বই নির্বাচন করুন—উপন্যাস, প্রবন্ধ, আত্মকথা, গল্প, অথবা অডিও বুক। এর মাধ্যমে আপনার পাঠ অভিজ্ঞতা বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠবে, যা আপনার আগ্রহ বজায় রাখবে।

৪. প্রযুক্তি ব্যবহার করুন

আজকাল অনেক অ্যাপ এবং সাইট রয়েছে যা বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করে। ATReads বা Goodreads-এর মতো প্ল্যাটফর্মে বইয়ের রিভিউ পড়তে পারেন, বইয়ের তালিকা তৈরি করতে পারেন এবং পাঠকের চ্যালেঞ্জে অংশ নিতে পারেন।

৫. সময়সীমা নির্ধারণ করুন

প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে বই পড়ার জন্য কিছু সময় নির্ধারণ করুন, যেমন ২০ মিনিট বা ৩০ মিনিট। এটি আপনার পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সহায়ক হবে এবং আপনি দেখতে পাবেন যে ধীরে ধীরে আপনার মনোযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

৬. বই পড়ার পরিবেশ তৈরি করুন

পড়ার জন্য একটি নিরিবিলি স্থান বেছে নিন যেখানে আপনি শান্তিপূর্ণভাবে বই পড়তে পারবেন। কোনো ধরনের ব্যাঘাত এড়াতে আপনার মোবাইল ফোন সাইলেন্ট বা ডু নট ডিস্টার্ব মোডে রাখুন।

৭. অনুপ্রেরণা সংগ্রহ করুন

বই পড়ার জন্য অনুপ্রেরণা সৃষ্টির জন্য আপনার চারপাশের মানুষের সাহায্য নিন। তাদের বই পড়ার অভ্যাস দেখুন, বইয়ের রিভিউ পড়ুন, অথবা ATReads-এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অন্যান্য পাঠকের সাথে যোগাযোগ করুন।


প্রতিদিন কত পৃষ্ঠা বই পড়া উচিত?

বই পড়ার ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম নেই যে প্রতিদিন কত পৃষ্ঠা পড়তে হবে। তবে কিছু সাধারণ পরামর্শ দেওয়া যায়:

১. নতুন পাঠকদের জন্য ১০-২০ পৃষ্ঠা

যারা বই পড়া শুরু করছেন, তাদের জন্য প্রতি দিন ১০-২০ পৃষ্ঠা পড়া যথেষ্ট হতে পারে। এটি আপনাকে ধীরে ধীরে বই পড়ার অভ্যাসে অভ্যস্ত করবে এবং আপনি একটি বই শেষ করার পর আরও বই পড়তে আগ্রহী হবেন।

২. অভ্যস্ত পাঠকদের জন্য ৩০-৫০ পৃষ্ঠা

যারা বই পড়তে অভ্যস্ত, তারা প্রতিদিন ৩০-৫০ পৃষ্ঠা পড়তে পারেন। কিছু বই যেমন উপন্যাস বা ছোট গল্পের বইগুলোতে প্রতিদিন ৩০-৫০ পৃষ্ঠা পড়লে আপনি খুব সহজেই একটি বই শেষ করতে পারবেন।

৩. একাধিক বই পড়া

একাধিক বই পড়লে আপনি একদিনে একাধিক পৃষ্ঠা পড়তে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, একটি বইয়ে ২০ পৃষ্ঠা এবং অন্য বইয়ে ১০ পৃষ্ঠা পড়লে আপনার মোট পড়া হবে ৩০ পৃষ্ঠা, যা এক মাসে অনেক বই শেষ করার দিকে নিয়ে যাবে।

৪. সময়ের উপর নির্ভরশীলতা

যে কোনো বই পড়ার ক্ষেত্রে, আপনার কাছে সময় অনুযায়ী পৃষ্ঠা সংখ্যা পরিবর্তন হতে পারে। যদি আপনি কোনো বইয়ে মগ্ন থাকেন, তবে অনেক বেশি পৃষ্ঠা পড়তে পারেন, আর যদি বইটি কঠিন বা চিন্তাশীল হয়, তবে কম পৃষ্ঠা পড়তে পারেন।

৫. ইবুক ও অডিও বুকের সুবিধা

যদি আপনি ইবুক বা অডিও বুক পড়েন, তবে আপনি যখনই সময় পাবেন তখন বই পড়তে বা শুনতে পারেন। ইবুকের ক্ষেত্রে আপনি পৃষ্ঠা পরিবর্তন এবং স্ক্রিন সাইজের সাথে মিলিয়ে বই পড়তে পারবেন। অডিও বুকের ক্ষেত্রে, যখন আপনি গাড়ি চালাচ্ছেন বা হাঁটছেন, তখনও বই শোনা সম্ভব। এই ধরনের বই পড়লে আপনার পৃষ্ঠা সংখ্যা কম হলেও মোট বইয়ের সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব।


৪. ATReads Reading Challenge

ATReads সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম, যেখানে বই পড়া, রিভিউ লেখা এবং সাহিত্য আলোচনা করা যায়। ATReads-এ প্রতি মাসে "পাঠকের চ্যালেঞ্জ" আয়োজন করা হয়, যেখানে পাঠকরা এক মাসে ১০টি বই পড়ার চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ করতে পারেন। এখানে, আপনি বই পড়ে রিভিউ শেয়ার করতে পারেন, বইয়ের প্রতি আপনার অভিমত জানাতে পারেন, এবং আরও অনেক পাঠক এবং লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। ATReads-এ যোগ দিয়ে আপনি এই চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ করতে পারেন, যা আপনার বই পড়ার অভ্যাসকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।

ATReads-এ কীভাবে যোগ দেবেন?

  1. ATReads ওয়েবসাইট বা অ্যাপ ডাউনলোড করুন।
  2. আপনার প্রোফাইল তৈরি করুন এবং ৩০ দিনে ১০টি বই পড়ার চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ করুন।
  3. বই পড়া শুরু করুন এবং অন্য পাঠকদের সাথে আপনার পাঠের অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন।

উপসংহার

৩০ দিনে ১০টি বই পড়ার চ্যালেঞ্জ শুধুমাত্র একটি সাহিত্যিক অভিযান নয়, এটি একটি আত্মবিশ্বাস এবং মনোযোগ বাড়ানোর কার্যকর উপায়। এটি আপনাকে নতুন বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করবে এবং সাহিত্য জগতে আরও গভীরভাবে প্রবেশ করতে উদ্বুদ্ধ করবে। ATReads-এ যোগ দিয়ে আপনি বই পড়ার চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ করতে পারেন, যেখানে আপনি শুধু পড়বেন না, পাশাপাশি অন্য পাঠকদের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারবেন। তাই, আর দেরি না করে আজই শুরু করুন আপনার বই পড়ার যাত্রা! 📚✨

Search
Gesponsert
Nach Verein filtern
Read More
Other
সাতক্ষীরার বিখ্যাত মিষ্টি
বাংলাদেশের মিষ্টির জগতে সাতক্ষীরার মিষ্টি একটি গর্বের নাম। সাতক্ষীরার খাঁটি দুধের ছানা দিয়ে তৈরি...
Von Khalishkhali 2024-12-05 05:15:23 0 306
Arts and Entertainment
ক্লোরিনেশন প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা কর
ক্লোরিনেশন হল পানির জীবাণুমুক্ত করার একটি প্রচলিত প্রক্রিয়া, যা পানির মধ্যে থাকা ক্ষতিকারক...
Von Knowledge Sharing Bangladesh 2024-12-17 11:51:31 0 134
Literature
বড় কে কবিতার লেখক কে
বড় কে? কবিতার লেখক কে? ‘বড় কে’ কবিতাটি রচনা করেছেন কবি হরিশচন্দ্র মিত্র। তিনি ১৮৩৭...
Von Pakhi Sarkar 2024-12-01 06:48:10 0 327
Self-Care & Mental Health
কিশোর গ্যাং রুখতে হবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, আমরা একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা প্রত্যক্ষ করছি: কিশোর অপরাধের উল্লেখযোগ্য...
Von Razib Paul 2024-03-12 07:45:15 0 6KB
Lifelong Learning
The Unstoppable Journey of Lifelong Learning
In an ever-changing world, the pursuit of knowledge knows no bounds. Lifelong learners are a...
Von Adila Mim 2023-09-09 13:34:14 0 10KB