এই যুগে বিস্ময় মানেই মোবাইলের স্ক্রিনে নোটিফিকেশন। আর আমরা, সেই প্রাচীন বিস্ময়ের চর্চা ভুলে, ডিজিটাল বিজ্ঞপ্তির দাস হয়ে গেছি। তবু যখন কেউ বলে, “যখন মোবাইল ছিল না, তখন জগদীশচন্দ্র বসু ছিলেন,” তখন মনে হয়—অ্যারে! উনি যে সময়েই থাকুন, তখন হয়তো মোবাইল থাকলেও তিনি হয়তো “প্ল্যান্টস টক অ্যাপ” বানিয়ে ফেলতেন।

আর ই-মেল? রবীন্দ্রনাথ তো ‘ই-পত্র’ লিখলে বিশ্বভারতী হয়তো “ই-পত্রবিশ্ব” নামে স্টার্টআপ খুলে ফেলত! সত্যজিৎ, মৃণাল, ঋত্বিক ইউটিউবে নিজেদের “ডিরেক্টর’স কাট” আপলোড দিয়ে আমরাই বসে বসে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করতাম।

তবে, যেসব বিস্ময়ের কথা বললেন, সেগুলো নিয়ে এখনকার দিনে চুটকি করার মজা কী কম?
- "যখন মেট্রো ছিল না, তখন কবিরা ডবল ডেকারে রাত্রিশাসন করতেন।" এখন হলে হয়তো কবিতার লাইন হত: **“মেট্রোর ভিড়ের ধাক্কা খেয়ে লেখা হল ব্যাগের খাতায়।”**
- আর বিদ্যাসাগরের হাঁটা পথের জায়গায় ওলা বা উবার থাকলে? তিনি নিশ্চয়ই নিজের নামেই অ্যাপ খুলতেন—**“বিদ্যা-সাগর”!**
- লালন ফকির আর সেলফি? হ্যাশট্যাগ হত #লালন_লিভস #আঁকা_দুনিয়ার_প্রথম_সেলফি!
- আর বহুতলবিহীন জসীমউদ্দিনের প্রান্তর? সেখানে আজকাল ১০০ তলা বিল্ডিংয়ের নাম হত: **"জসীম স্কাইটাইম"!**

তাহলে প্রশ্ন—আমরা এগোলাম কীসে?
আমাদের বিস্ময়ের রসায়ন পাল্টেছে। এখন **“ডোরড্যাশে”** পুঁটিরামের সন্দেশ আসে, **“ক্যামেরায়”** ধরা পড়ে অচেনা বটগাছের শিকড়। কিন্তু তাতে বিস্ময়ের স্বাদ কতটা থাকে?

তবু একটা কথা স্বীকার করতে হয়—
যে মোবাইল আমাদের বিস্ময় কেড়ে নিয়েছে, তার মধ্যেই হয়তো লুকিয়ে আছে জগদীশচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, সত্যজিৎ, হেমন্তদের গল্প। শুধু আমাদের একটু চোখ তুলে তাকানোর অপেক্ষা।
তবু মনে হয়, “আকাশভরা সূর্যতারার নীচে” আমরা এখনও কিছুটা **পাগল জগাই।** আর সেটাই তো ঠিক, তাই না?
এই যুগে বিস্ময় মানেই মোবাইলের স্ক্রিনে নোটিফিকেশন। আর আমরা, সেই প্রাচীন বিস্ময়ের চর্চা ভুলে, ডিজিটাল বিজ্ঞপ্তির দাস হয়ে গেছি। তবু যখন কেউ বলে, “যখন মোবাইল ছিল না, তখন জগদীশচন্দ্র বসু ছিলেন,” তখন মনে হয়—অ্যারে! উনি যে সময়েই থাকুন, তখন হয়তো মোবাইল থাকলেও তিনি হয়তো “প্ল্যান্টস টক অ্যাপ” বানিয়ে ফেলতেন। আর ই-মেল? রবীন্দ্রনাথ তো ‘ই-পত্র’ লিখলে বিশ্বভারতী হয়তো “ই-পত্রবিশ্ব” নামে স্টার্টআপ খুলে ফেলত! সত্যজিৎ, মৃণাল, ঋত্বিক ইউটিউবে নিজেদের “ডিরেক্টর’স কাট” আপলোড দিয়ে আমরাই বসে বসে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করতাম। তবে, যেসব বিস্ময়ের কথা বললেন, সেগুলো নিয়ে এখনকার দিনে চুটকি করার মজা কী কম? - "যখন মেট্রো ছিল না, তখন কবিরা ডবল ডেকারে রাত্রিশাসন করতেন।" এখন হলে হয়তো কবিতার লাইন হত: **“মেট্রোর ভিড়ের ধাক্কা খেয়ে লেখা হল ব্যাগের খাতায়।”** - আর বিদ্যাসাগরের হাঁটা পথের জায়গায় ওলা বা উবার থাকলে? তিনি নিশ্চয়ই নিজের নামেই অ্যাপ খুলতেন—**“বিদ্যা-সাগর”!** - লালন ফকির আর সেলফি? হ্যাশট্যাগ হত #লালন_লিভস #আঁকা_দুনিয়ার_প্রথম_সেলফি! - আর বহুতলবিহীন জসীমউদ্দিনের প্রান্তর? সেখানে আজকাল ১০০ তলা বিল্ডিংয়ের নাম হত: **"জসীম স্কাইটাইম"!** তাহলে প্রশ্ন—আমরা এগোলাম কীসে? আমাদের বিস্ময়ের রসায়ন পাল্টেছে। এখন **“ডোরড্যাশে”** পুঁটিরামের সন্দেশ আসে, **“ক্যামেরায়”** ধরা পড়ে অচেনা বটগাছের শিকড়। কিন্তু তাতে বিস্ময়ের স্বাদ কতটা থাকে? তবু একটা কথা স্বীকার করতে হয়— যে মোবাইল আমাদের বিস্ময় কেড়ে নিয়েছে, তার মধ্যেই হয়তো লুকিয়ে আছে জগদীশচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, সত্যজিৎ, হেমন্তদের গল্প। শুধু আমাদের একটু চোখ তুলে তাকানোর অপেক্ষা। তবু মনে হয়, “আকাশভরা সূর্যতারার নীচে” আমরা এখনও কিছুটা **পাগল জগাই।** আর সেটাই তো ঠিক, তাই না? 😄
Like
Love
Haha
7
2 Commenti 0 condivisioni 4K Views 0 Anteprima
AT Reads https://atreads.com